প্রকাশিত: / বার পড়া হয়েছে
অনলাইন ডেস্কঃ
বিএনপি নেতার মিটিংয়ে না যাওয়ায় মেরে ফেলা হয়, অভিযোগ পরিবারের।
ফরিদপুরের কানাইপুরে যুবককে তুলে নিয়ে নির্যাতন করে হত্যার ঘটনায় লাশ নিয়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। নিহতের পরিবারের দাবি, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছার মিটিংয়ে না যাওয়ার কারণেই ওবায়দুর খানকে (২৮) তুলে নিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে চারটায় ওবায়দুরের মরদেহ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স আসে ওবায়দুলের বাড়িতে। এ সময় ঘণ্টাব্যাপী ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কানাইপুর বাজার এলাকায় ওবায়দুরের হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী। এ সময় বিক্ষুব্ধরা ঘটনার জন্য দায়ী করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহ মুহাম্মদ আলতাফ হোসেন ও তার ভাই খায়রুজ্জামান খাজাসহ জড়িত আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
নিহত ওবায়দুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ঝাউখোলা গ্রামের বিল্লাল খানের ছোট ছেলে। তিনি পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি ও কৃষিকাজে নিযুক্ত ট্রাক্টর চালক ছিলেন। তার পাঁচ মাসের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে।
নিহতের বাবা বিল্লাল খান বলেন, গতকাল ইছা ভাইয়ের (জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছা) মিটিংয়ে যাওয়ার জন্য খাজা আমাদের বলে যায়। আমরা ওই মিটিংয়ে না যাওয়ার কারণেই আমার ছেলেকে তুলে নিয়ে মেরে ফেলেছে। আমি এই হত্যার বিচার চাই। ওর (খাজা) ফাঁসি না হলে আরও মানুষ মরবে। খাজা আর আলতাব চেয়ারম্যান অর্ডার দিয়েই আমার ছেলেকে মারছে।
জানতে চাইলে কোত োয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন, লাশ দাফন শেষে পরিবারকে আসতে বলা হয়েছে। রাতেই হত্যা মামলা হিসেবে নেওয়া হবে। এ ছাড়া জড়িতদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত আছে।
এর আগে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) ওবায়দুর খানকে তুলে নিয়ে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এ সময় তার দুই চোখে পেরেক ঢুকিয়ে খোঁচানো হয় এবং পায়ের রগ কেটে দেয় দুর্বৃত্তরা। রাত ৯টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি।
ওবায়দুরের মরদেহ বাড়িতে পৌঁছুলে অপেক্ষারত হাজারো মানুষের কান্নায় আওয়াজে ভারী হয়ে আসে আশপাশের পরিবেশ। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় সান্ত্বনা দেবার ভাষা না থাকলেও কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি মাহবুবুল হাসান ভূঁইয়া পিংকু সশরীরে হাজির হন কানাইপুরের ওবায়দুরের বাড়িতে। মাহবুবুল হাসান ভূঁইয়া পিংকুকে কাছে পেয়ে চিৎকার করে কান্না করতে থাকেন ওবায়দুলের মা ও বাবা।